আসসালমুআলাইকুম,আশা করি সবাই ভালো আছেন।গত পর্বে হৃদরোগ এর ঝুঁকি এবং সাবধানতা এর প্রথম পর্ব (হার্ট এ্যাটাক কি,লক্ষণ,উপসর্গ) নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। আজকে এর চিকিৎসা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করবো হার্ট এ্যাটাক রোগীর প্রথম লক্ষণ এবং সমস্যা হচ্ছে তীব্র বুকে ব্যাথা, যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ইনভেস্টিগেশন / টেস্ট: ১. S.Teoponin-I এর লেভেল দেখা হয়, যার নরমাল লেভেল <.০১২ ng/ml ২. CK-MB,LDH,SGOT কিছু ক্ষেত্রে দেখা হয়। ৩.জরুরী ভিত্তিতে ECG করা হয়,যা খুবই গুরত্বপূর্ণ। ৪.বুকের এক্স- রে করা হয়। ৫. হার্ট ফেইলিওর আছে কিনা তা দেখার জন্যে NT-PRO BNP করা হয়। ৬.ECHO করা হয় হার্ট এর ফাংশন দেখার জন্যে।

চিকিৎসা : ১.হাসপাতালে সিসিউ তে ভর্তি করাতে হবে।

২.রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়,এজন্য রোগীকে হাই ফ্লো অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয় এবং বিছানা ৪৫-৫০ ডিগ্রি পিঠের দিক থেকে উচু করে রাখা হয়।

৩.সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা হয়।

৪.তীব্র বুকে ব্যাথা কমানোর জন্য ব্যাথানাশক ওষুধ শিরা বা মাংসপেশিতে দেয়া হয় রোগীর ওজন বুঝে। ৫.কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে প্রাইমারি পিসিআই করা হয়।

৬.রক্ত যাতে রক্তনালীতে জমা না হয় সেজন্য রক্ত পাটলাকরণ এর ওষুধ খাওয়ানো হয় এবং প্রয়োজনবোধে নাভির চারপাশে ইনজেকশন দেয়া হয়।

৭.হার্ট বিট বা কম্পন অনেক বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্যে ওষুধ দেয়া হয়।

৮.রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এর জন্যে এন্টি হাইপারটেনশন এর ওষুধ দেয়া হয়।

৯.লিপিড বা শরীরে অতিরিক্ত চর্বি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্যে লিপিড লোয়ারিং ওষুধ দেয়া হয়।

১০.সর্বোপরি দুঃচিন্তা,ভয় দুর করার জন্যে ওষুধ দেয়া হয়। আজকে এ পর্যন্তই।

পরবর্তীতে করোনারি এনজিওগ্রাম নিয়ে আলোচনা করবো। সবার দোয়া প্রত্যাশী। ডা: মো: আতাউদ জাহান রেজাউল কার্ডিয়াক সার্জারি মেডিকেল অফিসার গ্রীন লাইফ হার্ট সেন্টার,গ্রীন লাইফ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল,ঢাকা এমবিবিএস (ডি ইউ ),পি.জি.টি (কার্ডিয়াক সার্জারি),ডি. ও. সি(স্কিন & ভিডি) পিজিটি (মেডিসিন,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) সিসিডি (ডায়াবেটিস- বারডেম জেনারেল হাসপাতাল)